দূর্নীতির অভিযোগে চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল
২১ দিন আগে সোমবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৫
ছবি : বিজয় বিডি
বিজয় বিডি ডেস্ক :: শিক্ষকদের ও মাদ্রাসার টাকা আত্নসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে সুপারের শাস্তির দাবিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে শ্রীপুর বায়তুশ শরফ লহরী জব্বারিয়া দাখিল মাদরাসার অভিভাবক ও সাবেক পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
রোববার সকালে মাদরাসা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক শাহী। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল কাছেম প্রায় ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। বহিস্কার প্রতিরোধ করতে তিনি ২০১০ সালের ৩০ মে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ছলছাতুরির আশ্রয় ধরে আবুল কাছেম বহিস্কারের আদেশ ও পদত্যাগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদরাসার তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম ২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি আবুল কাছেমের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
মাদরাসা সূত্রে আরও জানা গেছে, মাওলানা আবুল কাছেম ১৯৮৭ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে মাদরাসার সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্বপ্রাপ্তকালে তিনি শিক্ষক-কর্মচারিদের অনুদানের ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, পরীক্ষার ফি বাবদ ৬ লাখ ১৩ হাজার ৪২৭ টাকা, ২০০৭ সালে টিউশন ফি বাবদ ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা, এলাকাবাসীর অনুদানের ৭০ হাজার টাকা, নির্বাচনী পরীক্ষার ফি ৫৪ হাজার ৮৪০ টাকা, শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৪৫ টাকা, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের থেকে দানকৃত ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮২০ টাকা, মাদরাসা শিক্ষকদের ভবিষ্যত তহবিল থেকে ১২ হাজার টাকা, আরও একটি অনুদানের ১৩ হাজার টাকা, মাদরাসার এফডিআরের ১৪ হাজার ২৫৯ টাকাসহ ১৬ লাখ ৯০ হাজার ২৮১ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার আ.ক.ম ইব্রাহিম ভুঁইয়া ২০১২ সালের ৬ আগস্ট কুমিল্লার আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ২০১৩ সালে তদন্ত করে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সামছুদ্দিন অভিযোগপত্র প্রদান করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু তাহের, পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মাওলানা আবুল হাশেম, এয়াকুব শরীফ, দাতা সদস্য শফিকুর রহমান মজুমদার, স্থানীয় আবু তাহের, মোঃ মিঠু, আবদুল বারিক, শাহজাহান, মারুফ হোসেন, মাঈন উদ্দিন, কাজী আবদুল কাদের, আবদুল হামিদ, আবাদ মিয়া, তিতা মিয়া, ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন শেষে বরখাস্তকৃত মাদরাসা সুপারের শাস্তির দাবি করেন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বরখাস্তকৃত সুপারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা যায়।